HSC ( একাদশ ) শ্রেণির দ্বিতীয় (২য়) সপ্তাহের অর্থনীতি (Economy) এসাইনমেন্ট সমাধান প্রশ্ন উত্তর ২০২২ pdf – HSC Economy 2nd week Assignment Answer

Spread the love

একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট অর্থনীতি প্রশ্ন উত্তর ২০২১

HSC ( একাদশ ) শ্রেণীর ২য় সপ্তাহের অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

একাদশ ( HSC ) শ্রেণির দ্বিতীয় (২য়) সপ্তাহের অর্থনীতি (Economy) এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ pdf – HSC Economy 2nd week Assignment Answer,২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট উত্তর, এইচ এস সি ২য় সপ্তাহের অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর

২০২১ সালের একাদশ শ্রেণী এবং ২০২২ সালে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য HSC ২০২২ এর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। ২০২০ এবং ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেশিরভাগ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২২ সালের hsc পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে এনসিটিবি।

একাদশ ( HSC ) শ্রেণীর এসাইনমেন্ট অর্থনীতি ( Economy) সমাধান

একাদশ ( HSC ) অর্থনীতি (Economy) অ্যাসাইনমেন্ট । নতুন দ্বিতীয় (২য়) সপ্তাহের জন্য ৬টি বিষয়ে দেয়া হয়েছে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, অর্থনীতি, পৌরনীতি ও সুশাসন, এবং যুক্তিবিদ্যা। । তাই আপনাদের জন্য  দ্বিতীয় (২য়) সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এখানে দেয়া হয়েছে। নিচে থেকে দেখে নিন একাদশ ( HSC ) শ্রেণির অর্থনীতি (Economy) এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১। HSC Economy Assignment Answer 2nd Week

HSC ( একাদশ ) শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থনীতি (Economy) বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক শিক্ষার্থী অর্থনীতি (Economy) সাবজেক্ট খুব বেশি বুঝেনা। এবং আমরা জানি যে, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে  শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুতরাং এই ক্ষতিটা কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার জন্য একাদশ ( HSC ) শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। একাদশ ( HSC ) শ্রেণির অর্থনীতি (Economy)  অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২, একাদশ ( HSC ) Economy Assignment Answer 2nd Week.একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট অর্থনীতি প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণির অর্থনীতি শ্রেণীর ২য় সপ্তাহের অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট

তাছাড়া HSC ( একাদশ ) শ্রেণির অর্থনীতি সাবজেক্ট তোমরা পড়ে তারপর এসাইনমেন্ট উত্তর লিখবে । অবশ্যই এসাইনমেন্ট সুন্দর করে লিখতে হবে হাতের লেখা খারাপ হলে অনেক সময় নাম্বার কম পাওয়া যায় ।এজন্য তোমরা চেষ্টা করবে এসাইনমেন্ট উত্তর খুব সুন্দর ভাবে লিখতে। একাদশ শ্রেণির অর্থনীতি এসাইমেন্ট সমাধান দেয়া হয়েছে ,সেখান থেকে চাইলে খুব সুন্দর ভাবে লিখতে পারবে। hsc Economy assignment solution. hsc assignment Economy 2nd week

একাদশ ( HSC ) শ্রেণির অর্থনীতি এসাইনমেন্ট

আপনাদের বাকি এসাইনমেন্ট গুলো আমার ওয়েবসাইটে দেয়া হবে সেখান থেকে চাইলে উত্তর লিখতে পারবে ।

উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানাে যাচ্ছে যে, চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে না পারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রহণ করেছে। ইতােমধ্যে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার পাঠ্যসূচি পূনর্বিনাস করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরােপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মুল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য বিষয়ভিত্তি ক মূল্যায়ন রুব্রিক্সসহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন কর হয়েছে। একাদশ শ্রেণির অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আপনারা অনেকেই অনলাইনে এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন । তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের এই আর্টিকেল ।

যেহেতু করোনা মহামারীর কারণে গত 18 মার্চ ২০২০ তারিখ হতে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে । তাই শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে। 2021 সালের এইচএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমোশন’ দেওয়া হলেও ২০২২ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের কোন প্রকার অটো প্রমোশন দেয়া হবে না ।

তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে হবে । মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি মনোযোগ সহকারে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে । একাদশ শ্রেণির অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর

একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট অর্থনীতি ২ পত্র – ২য়  সপ্তাহ

গত ১৭ জুন 2021 তারিখে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অর্থনীতি ২য় পত্র বিষয়ের উপর অ্যাসাইনমেন্ট এর সিলেবাস প্রকাশ পায় । আজকে আমরা সেই সিলেবাস এর উপর ভিত্তি করেই একাদশ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট এর অর্থনীতি ২য় পত্র প্রশ্ন সমাধান করে দিয়েছি। এসাইনমেন্ট টপিক নেওয়া হয়েছে এনসিটিবি অনুমোদিত একাদশ শ্রেণীর মূল পাঠ্যবই হতে।

অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর প্রতিটি বিষয়ের প্রথম পত্র হতে এসাইনমেন্ট টপিক নেওয়া হয়েছে।এই এসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন শুধুমাত্র ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীগণ। ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এ এসাইনমেন্ট কার্যক্রম নয়।

২০২২ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর

২০২২ সালের এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য এসাইনমেন্ট

বিষয়: অর্থনীতি
পত্র:দ্বিতীয়
বিষয় কোড: ১১০

রবির বাবার ২বিঘা কৃষি জমি আছে। উক্ত জমির আলােকে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের রূপরেখা প্রস্তুত কর।

 

 

এত বড় কিন্তু তােমাদের লেখতে হবে না। এখানে একটু বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে তােমরা জানাে যে, হুবহু কোন উৎস থেকে অ্যাসাইনমেন্ট কঁপি করে লিখলে সেটা বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই এখান থেকে যতটুকু দরকার ততটুকু তুমি লিখতে পারাে। পুরােটা লেখার কিন্তু কোনাে প্রয়ােজন নেই।

 

উত্তর:

রবির বাবার ২ বিঘা জমিতে টেকসই পরিবেশ বান্ধব কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের রূপরেখা প্রস্তুত করার জন্য আমাদেরকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে মেনে চলতে হবে | নিম্নে রবির বাবার ২ বিঘা জমিতে টেকসই পরিবেশ বান্ধব কৃষিভিত্তিক প্রকল্পে রূপরেখা প্রস্তুত করা হলাে :

 

বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনের ধারা

বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর কৃষি উৎপাদনযােগ্য ভূমির পরিমান বৃদ্ধি পায়নি। অথচ প্রতি মুহুর্তেই বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্যগ্রহনকারীর সংখ্যা। বিদ্যমান কৃষিভূমিতে বসতবাড়ি নির্মান ও নগরায়নের ফলে কৃষি উৎপাদনযােগ্য ভূমির পরিমান ব্যাপক ভাবে হ্রাস পাওয়া স্বত্তেও কুষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সফলতা বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। এ পরিবর্তন উৎপাদনের কলাকৌশল, উপকরনসমূহের প্রয়ােগ, শস্য – উদ্ভিদ |ও প্রানিজ সম্পদ পরিচর্যা, উৎপাদনের পরিমান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশী লক্ষনীয়।

খাদ্যশস্য উৎপাদন ;

ক) বর্তমানকালে বিভিন্ন শস্যের প্রচলিত বীজের পরিবর্তে উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার এমন বাড়ছে। বিশেষ করে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে লক্ষনীয়। বর্তমানেপ্রায় ৩৭ টি উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ হচ্ছে।

খ) মানুষ ও পশুচালিত লাঙলের পরিবর্তে পাওয়ারটিলার , ভাড়ায় চালিত ট্রাক্টর বাহিত লাঙল, শস্য মাড়াই যন্ত্র ইত্যাদির ব্যবহার চলছে।

গ) গােবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম সার ও কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযােগ্যভাবে বেড়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে যন্ত্রনির্ভর পানিসেচের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘ) শস্য বহুমুখীকরণ ও শস্য উৎপাদনে পরিবর্তনের ধারার আর একটি রূপ। আবার এক জমিতে এখন বছরে দুটি, তিনটি শস্যের চাষ চলছে।

ঙ) কৃষক তার জমির আইলে ফলের গাছ লাগাচ্ছে, জমি পতিত না রেখে সেখানে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেছে। ফলে নিবিড় চাষের মাত্রা ও আওতা বাড়ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট উত্তরণে অভিযােজনের উপায় অনুন্ধান

বাংলাদেশের ভুখন্ড উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে ক্ৰমশ ঢালু। এর ফলে নদ- নদীর গতিপথ উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ধরনের ভৌগােলিক অবস্থান জনিত কারণে বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলােচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, কালবৈশখী, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রতিকূল অবস্থা দেখা যায়। জলবায়ুগত কোনাে কোনাে উপাদান ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে। প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টিকারী জলবায়ুগত উপাদানগুলাে মধ্যে রয়েছে ঘুর্ণিঝড় ও জলােচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা ইত্যাদি।

ঘূর্ণিঝড় ও জলােচ্ছাস :

বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই ঘুর্ণিঝড় হয়ে থাকে । দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্রোপকূল এলাকায় এর তীব্রতা বেশি। উপকূলের প্রায় ২.৮৫ মিলিয়ন হেক্টর এলাকা প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় ও জলােচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমুদ্রে যখন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় তখন তা সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড়ের আকারে স্থলভাগের দিকে আসে | এর ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই স্থলভাগে ঢুকে পড়ে।

বন্যা :

সাধারণভাবে নদী – নালা, খাল -বিল দিয়ে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি পানি বয়ে গেলেই বন্যা দেখা দেয় | বন্যা বাংলাদেশে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কোনাে | কোনাে বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবার কোনাে কোনাে বছর বিভিন্ন সময়ে বন্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃষ্টি জলীয় বান্স সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়। এই মৌসুমী বায়ু উত্তরের পাহাড়ের গায়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশের উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু হওয়াতে বৃষ্টির পানি নদ-নদী দিয়ে প্রবাহিত হয় দক্ষিণ দিকে।

খরা :

বাদলের একক খরা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ও মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। খরার কারণে এদেশে ৩০-৭০ % পর্যন্ত ফসলহানি হতে পারে । গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য মাটিতে প্রয়ােজনীয় পানির ঘাটতি হলে সেই অবস্থাকে খরা প্রয়ােজনীয় পানির ঘাটতি হলে সেই অবস্থাকে খরা বলা হয়। যে মৌসুমে সাধারণত মাটিতে রসের এইঘাটতি অবস্থা থাকে তাকে বলা হয় খরা মৌসুম। খরার প্রধান প্রধান কারণগুলি হল অনাবৃষ্টি,সেচের পানির অভাব, প্রখর রৌদ্রতাপ ও বেলে বা ঢালু জমিতে কোন আচ্ছাদন না থাকা। খরা অবস্থায় চারা গাছ খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খরাকে তীব্র, মাঝারি ও সাধারণ এই তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে সকল মৌসুমেই খরা দেখা দিতে পারে।

 

বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ফসল রক্ষার কৌশল :

১. অতিবৃষ্টি:

বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর মাসে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এ সময়ে কখনাে কখনাে একটানা কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টি হয়ে থাকে একে অতিবৃষ্টি বলে। অনেক ফলের গাছের গােড়া নেতিয়ে বা হেলে পড়ে। এক্ষেত্রে গাছের চারার গােড়ায় মাটি দিয়ে সােজা করে বাঁশের খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে। এ সময় শাক সবজির মাঠ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২. অনাবৃষ্টি:

যদি শুষ্ক মৌসুমে একটানা ১৫ দিন বা এর বেশীদিন বৃষ্টি না হয় তখন আমরা তাকে অনাবৃষ্টি বলি। অনাবৃষ্টির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য আমরা সেচ দিয়ে থাকি। বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে যদি অনাবৃষ্টি দেখা দেয় তবে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। জমিতে নিড়ানি দিতে হবে। শীতকালীন সবজি ক্ষেতে জাবড়া প্রয়ােগ করে পানি সংরক্ষণ করতে হবে

৩. শিলাবৃষ্টি:

বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ এপ্রিল মাসে শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টির কারণে বিশেষ করে রবি ফসল, যেমন : পেঁয়াজ, রসুন, গম, আলু ইত্যাদি নষ্ট হয়। শিলার আকার ও পরিমাণের ওপর ক্ষতি নির্ভর করে। ক্ষতি বেশি হলে এসব ফল ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে ফেলতে হবে। কিছু ফসল বাড়ন্ত অবস্থায় শিলার আঘাতে ডালপালা ভেঙে নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে ভাঙা ডালপালা ছাটাই করে সার ও সেচ দিয়ে যত্ন নিলে ফালকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।

খরা অবস্থায় ফল রক্ষার কৌশল :

১. উপযুক্ত ফল বা ফসলের জাত ব্যবহর :

খরা শুরু হওয়ার আগেই ফল তােলা যাবে এমন স্বল্পায়ু জাতের অথবা খরা সহ্য করতে পারে এমন জাতের চাষ করতে হবে। যেমন : আমন মৌসুমে বিনা ধান ৭, ব্রি ধান ৩৩ এক মাস আগে পাকে। ফলে সেপ্টেম্বর – অক্টোবর মাসের খরা থেকে ফসল রক্ষা করা যায়। বিজয় , প্রদীপ গমের দুটি খরা সহনশীল জাত।

২. মাটির ছিদ্র নষ্টকরণ:

খরা কবলিত এলাকায় বৃষ্টির মৌসুম শেষ হওয়ার পর মাটিতে অগভীর চাষ দিয়ে রাখতে হবে। এতে করে মাটির উপরিভাগের সুক্ষ্ম ছিদ্রগুলাে বন্ধ হয়ে যাবে।

৩. অগভীর চাষ :

অগভীর চাষ দিয়ে মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করতে হবে। প্রতি চাষের পর মই দিয়ে মাটিকে আঁটসাট অবস্থায় রাখতে হবে। এতে মাটিতে পানির অভাব পূরণ হবে।

৪. জাবড়া প্রয়ােগ:

শুকনাে খড় লতাপাতা, কচুরিপানা দিয়ে বীজ বা চারা রােপনের পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিলে আর্দ্রতা সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে সুর্যের তাপে পানি বাষ্পে পরিণত হতে পারে না। অনেক দেশে কালাে পলিথিন শিটও ব্যবহার করা হয়। এতে আগাছার উপদ্রবও কম হয়।

খরায় পশুপাখি রক্ষার কৌশল :

খরা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতিবছরই শুকনাে মৌসুমে খরা কবলিত হয়। খরা মৌসুমে সবুজ ঘাসের অভাবে কৃষকেরা পশু খাদ্য হিসেবে মূলত খড়ের ওপরেই নির্ভরশীল থাকেন। কিন্তু পশুর স্বাভাবিক পুষ্টি চাহিদা মেটানাের জন্য ঘাস না খাইয়ে কেবলমাত্র খড়ই যথেষ্ট নয়। পশুকে কেবলমাত্র ছােবড়া জাতীয় খাদ্য খাওয়ালেই চলবে না। খড়ে অল্প পরিমাণ শর্করা রয়েছে। কিন্ত্তু এর মধ্যে অন্যান্য খাদ্য উপাদান অনুপস্থিত। তাই কেবলমাত্র খড় বিচালি খেলে পশুপাখি অনিবার্যভাবেই অপুষ্টির শিকার হয়। একারণে খরা পরিস্থিতিতে পশুপাখিকে কাঁচা ঘাসের সম্পূরক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়ানাে প্রয়ােজন।

কৃষিতে পারমাণবিক শক্তি, জৈব প্রযুক্তি, আইসিটি এর ব্যবহারের সুফল :

কৃষিতে পারমাণবিক পদ্ধতি:

কৃষিক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তি বিকিরণকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে কাজে লাগানােই হলাে পারমানবিক কৃষি পদ্ধতি। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, পারমাণবিক প্রযুক্তির অধীনে তেজস্ক্রিয় আইসােটোপ ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণীর গুনগত, পরিমাপগত বা রূপগত পরিবর্তনকে কৃষিতে পারমানবিক পদ্ধতি বলে পরিচিত।

বায়ােটেকনােলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি:

বায়ােটেকনােলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অনুজীবের পরিমিত রূপান্তর ও মান উন্নীতকরণে যে বৈজ্ঞানিক কলাকৌশল ব্যবহার করা হয় তাই হলাে বায়ােটেকনােলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির সাহায্যে বিদ্যমান উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে উন্নততর ও অধিক উৎপাদনক্ষম ধরনের উদ্ভিদ উৎপাদন ও প্রাণীর প্রজনন সম্ভব।

বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে আইসিটি এর ব্যবহার: বাংলাদেশে কৃষকদের কৃষি উৎপাদন ও কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে
আইসিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতােমধ্যেই যথেষ্ট অগ্রগতি
হয়েছে। নিচে তার বিবরণ দেওয়া হলাে :

১. কৃষি তথ্য সার্ভিস:

বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রতিষ্ঠানটি আইসিটি এর সাহায্যে কৃষকদেরকে কৃষিসংক্রান্ত তথ্য ও প্রযুক্তি জানতে সাহায্য করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিনেমা ভ্যানে করে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বিনােদন লাভের সাথে সাথে কৃষকরা কৃষি উৎপাদন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারছে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কৃষি উৎপােদনের সাথে জড়িত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারে।

২.ইন্টারনেট :

আজকাল বাংলাদেশের শিক্ষিত কৃষকেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষি – উৎপাদন ও পণ্য বিপণন সার্ভিস গ্রাম পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যােগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করে তার মাধ্যমে কৃষি তথ্য হস্তান্তরের ব্যবস্থা করে। এখন দেশে কৃষি তথ্য পাওয়ার জন্য কতগুলাে ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কৃষকরা কৃষি উৎপাদন সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার সমাধান পেতে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হতে পারে।

৩. টিভি চ্যানেল :

কৃষক ও কৃষির উন্নতির জন্য কৃষি তথ্য প্রদানের ব্যাপারে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলাে যথেষ্ট তৎপর এ প্রসঙ্গে চ্যানেল আই এর হৃদয়ে মাটি ও মানুষ, বৈশাখীর কৃষি ও জীবন, বাংলাভিশনের শ্যামল ছায়া, জিটিভির সবুজ বাংলা, ইত্যাদি উল্লেখযোেগ্য | এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকরা স্বচক্ষে কৃষির বিভিন্ন বিষয় অবলােকন করে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন ও প্রয়ােগ করতে পারে।

৪. মােবাইল ফোন :

বর্তমানে মােবাইল ফোন ব্যবহার করেও কৃষকরা কৃষিকাজ উপযােগী তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারে। মােবাইল কোম্পানি বাংলা লিংক- এর জিজ্ঞাসা ৭৬৭৬ নম্বরটি কৃষি সংশ্লিষ্ট সেবাদানের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। কৃষকরা গ্রামাঞ্চলে, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত কৃষি কল সেন্টারগুলােতে কল করে সরাসরি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেত পারে। এভাবে দেখা যায়, আইসিটি ব্যবহার করে কৃষকরা সহজেই দেশ ও দেশের বাইরের কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত জানতে এবং তার সাহায্যে সুষ্ঠুভাবে কৃষিকাজ পরিচালনা করতে পারে।

বাংলাদেশের কৃষিতে আইসিটি ব্যবহারের সুফল :

বর্তমানকালে ফলপ্রসু উপায়ে কৃষিকাজ পরিচালনার জন্য আইনটির ব্যবহারের বিকল্প নেই। নিচে বাংলাদেশের কৃষিতে আইসিটি ব্যবহারের সুফল আলােচনা করা হল :

১. আবাহওয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি কুষিকাজে আবহওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সময় মতা বীজ বপন, চারা তৈরি , রােপন, কীটনাশক প্রয়ােগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আগাম আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য জানা একান্ত প্রয়ােজন। আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে শস্য ও মৎস্য ক্ষেত্রে কতগুলাে পরিপুরক প্রতিরােধমূলক কার্যক্রম গ্রহন করা যায়। তাছাড়া, কৃষিকাজ সুষ্ঠুরূপে পরিচালনার জন্য কৃষকদেরকে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা ও সমাধান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ইত্যাদি সম্পর্কেও অবিহিত হতে হয়।

২. উন্নত উপকরণের তথ্য সংগ্রহ :

আজকাল কৃষি উৎপাদনের মান ও পরিমান বৃদ্ধির জন্য দেশে দেশে উন্নততর বীজ, সার ও কীটনাশক উদ্ভাবিত হচ্ছে। এর সাথে রয়েছে নতুন নতুন কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যপারও। মানসম্মত সর্বাধিক কৃষিফলন পাওয়ার জন্য সর্বস্তম কৃষি উপকরণ ও টেকসই প্রযুক্তির নির্বাচন প্রয়ােজন। এ ক্ষেত্রে যথার্থ তথ্য দ্রুত nপেতে হলে আইনটির ব্যবহার আবশ্যক।

৩. কৃষি উপকরণ সমূহ ব্যবহারের নিয়ম – কানুন :

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সংগ্রহের সাথে সাথে তার ব্যবহারের নিয়মকানুন জানা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রয়ােজনীয় বিষয় সহজেই জানা যায়।

৪. কৃষি উৎপাদন সর্বাধিক করার ক্ষেত্রে :

কৃষি – উৎপাদন সর্বাধিক করার জন্য প্রয়ােজনীয় উপকরণ সমূহ সময়মতাে ও প্রয়ােজনীয় পরিমাণে সংগ্রহ করা দরকার। এক্ষেত্রে আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে সব ধরনের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

৫, রােগবালাই দমন :

নতুন উদ্ভাবিত বীজ ব্যবহার করতে গিয়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির আক্রমনে ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। এক্ষেত্রে রােগ – বালাই দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইসিটির ব্যবহার করা আবশ্যক।

৬, বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন :

কৃষিকাজ করে আশানুরূপ ফল পেতে হলে উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন জরুরি। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা পেতে হলে আইসিটির ব্যবহার করা আবশ্যক। সুতরাং বলা যায়, কুষিখাতকে অধিক উৎপাদনক্ষম করতে হলে আমাদের কৃষকদেরকে ধীরে ধীরে আইসিটির ব্যবহারে তৎপর হতে হবে।

কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রযুক্তি, সরকারের গৃহীত নীতি ও কর্মসূচির সাফল্য মূল্যায়ন :

কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলােতে অনেক তথ্য প্রযুক্তি রয়েছে। এসব তথ্য প্রযুক্তি কৃষকের ব্যবহার উপযােগী ও সহজবােধ্য করে স্বল্পসমযের মধ্যে তাদের দোড়গােযায় পৌঁছে দিতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। জীবনযাত্রার মান বাড়বে। কৃষি লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা এ খাতে এগিয়ে আসবে। কৃষিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে – এতে সংশয়ের কোনাে অবকাশ নেই। সারাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৩ হাজার কৃষি কর্মী আছেন। আর কৃষি পরিবার রয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ। এই বিপুল সংখ্যক কৃষি পরিবারেরর মধ্যে আধুনিক লাগসই প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের বিকল্প নেই।এক্ষেত্রে ই-কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ই-কৃষি হলাে – ইলেকট্রনিক প্রবাহের মাধ্যমে কৃষিবিষয়ক তথ্য সরবরাহের একটি আধুনিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায ইন্টারনেট, রেডিও, টেলিভিশন ও মােবাইল ফোন ,ইত্যাদি ইলেকট্রকি যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে কৃষির জন্য প্রযােজনীয় তথ্য নির্ভরযােগ্যভাবে কৃষক, কৃষি উপকরণ ও পণ্য ব্যবসায়ী, গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মী, পরিকল্পনাবিদ এবং ভােক্তা ইত্যাদি গােষ্ঠির কাছে পোঁছে দেয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়-মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কৃষকের জন্য বিনামূল্যে অনলাইন সার সুপারিশ সেবা চালু করেছে |

তোমার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। তাহলে তারাও খুব সহজে হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবে ।

 

বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মাটি গবেষণা করে দীর্ঘ ৫বছরের চেষ্টায় ফসলের অধিক উৎপাদন ও সুষম মাত্রার সার প্রয়ােগের লক্ষ্যে একটি সফটওয্যার উদ্ভাবন করে এই প্রতিষ্ঠানটি।সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যাবে কৃষি জমিতে কোনাে সার কী পরিমাণ প্রযােগ করতে হবে? এই অনলাইন ফোর্টিলাইজার রিকমেন্ডেশন সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করে মাটির পুষ্টিমানের তথ্য, ফলের পুষ্টি চাহিদা ও সারে পৃষ্টি উপাদানের পরিমাণ বিশ্লেষণ করে সার প্রযােগের নির্দেশনা পাবে কৃষক। এর ফলে ফোল ভেদে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বাড়বে। পরিবেশ দূষণের সাথে সাথে অভিযােজনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতােমধ্যে নীতি নির্ধারণ ও কয়েকটি আইন প্রণয়ন করছে।

এগুলোর মধ্যে জাতীয় পরিবেশ নীতি (১৯৯২), জাতীয় পরিবেশ এ্যাকশন প্লান (১৯৯২), বন নীতি (১৯৯৪) বনায়ন মাস্টার প্লান (১৯৯৩-২০১২) ইত্যাদি প্রধান। উল্লেখযােগ্য আইনের মধ্যে আরও রয়েছে। মৎস্য সংরক্ষণ আইন (১৯৮৯) ইত্যাদি। এসব আইন বিভিন্নভাবে কৃষিতেও পরিবেশ দূষণ রােধে সহায়ক। জলবায়ু পরবর্তনজনিত ঝুঁকি মােকাবেলা ও অভিযােজন কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে সরকার নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মােকাবেলার জন্য গৃহীত উল্লেখযােগ্য পদক্ষেপগুলাে হলাে :

১. পরিবর্তিত জলবায়ু উপযােগী ধানভিত্তিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ওসম্প্রসারণ প্রকল্প।

২. জামালপুর ও শেরপুর জেলার চর এলাকার নাজুক কৃষকদের খাদ্য নিরাপত্তা ও খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প।

৩. জলবায়ু পরিবর্তনে চরম হুমকির মুখে প্রতিকুল পরিবেশে অবস্থানকারী নারী ও শিশুর জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ ও সামাজিক সুরক্ষাকরণ প্রকল্প।

৪. জলাভূমি, বন পুনরুদ্ধার ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ প্রকল্প।

৫. উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্প। উপরােক্ত বিষয়গুলাে মেনে সহজেই রবির বাবার বিঘা জমিতে টেকসই পরিবেশ বান্ধব কৃষিভিত্তিক প্রকল্প প্রস্তুত করা যায়।

 

নোট : উত্তর এখানে শেষ

 

HSC একাদশ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ইংরেজি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর

 

শিখনফল/বিষয়বস্তু

  • বাস্তবচিত্র, ঘটনা ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশের কৃষিখাতে শস্য উৎপাদন, মৎসচাষ, গবাদিপশু ও হাঁস- মুরগি ম প্রতিপালন, চিংড়ি ও মাশরুম চাষ, বন ও নার্সারি স্থাপনের পরিবর্তনের ধারা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • বাংলাদেশের কৃষিতে পরিবেশ দৃষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব চিহ্নিত করে বিদ্যমান সংকট উত্তরণ এবং অভিযােজনের উপায় অনুসন্ধাণ করতে পারবে।
  • বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে পারমানবিক শক্তি, বায়ােটেকনােলজি পদ্ধতি এবং আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • কৃষি উন্নয়নে গৃহীত নীতি ও কর্মসূচির প্রতি সমর্থন দানে উদ্বুদ্ধ হবে।

নির্দেশনা/সংকেত

  • বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনের ধারা।
  • জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট উত্তরণে অভিযােজনের উপায় অনুসন্ধান
  • কৃষিতে পারমানবিক শক্তি, জৈব প্রযুক্তি, আইসিটি এর ব্যবহারের সুফল
  • কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রযুক্তি, সরকারের গৃহীত নীতি ও, কর্মসূচির সাফল্য মূল্যায়ন

একাদশ শ্রেণির অর্থনীতি এসাইনমেন্ট PDF Download

Join our YouTube channel

HSC all subject

 

একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট অর্থনীতি ২য় পত্র

একাদশ শ্রেণির অর্থনীতি পত্র এসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর

তোমার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। তাহলে তারাও খুব সহজে হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবে ।

 

এইচ এস সি দ্বিতীয় সপ্তাহের সকল এসাইনমেন্ট উত্তর

ইংরেজি এসাইনমেন্ট উত্তর
পদার্থ বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
হিসাব বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর
পৌরনীতি ও সুশাসন এসাইনমেন্ট উত্তর
যুক্তিবিদ্যা এসাইনমেন্ট উত্তর

 

তাছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে ( Class 6 ) ষষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট , ( Class 7 ) সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ( Class 8 ) অষ্টম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট , (Class 9) নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট, (SSC ) দশম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ( HSC ) একাদশ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর দেওয়া হয়ে থাকে আপনারা চাইলে দেখতে পারেন ।

নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্টের

 

https://youtu.be/e5rFJbb9YhA

 


Spread the love

Leave a Comment