বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর। দ্রুত শিল্পোন্নয়নে কোন ধরণের শিল্প স্থাপন করা যুক্তিযুক্ত মতামত দাও।
এইচএসসি 2022 অর্থনীতি [৭ম সপ্তাহ] এসাইনমেন্ট প্রশ্ন
করণা মহামারীর অতিমারির কারণে এইচএসসি 2022 সালের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পুনঃনির্ধারিত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আলোকে অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র পাঠ্যপুস্তক এর তৃতীয় অধ্যায় বাংলাদেশের শিল্প থেকে সপ্তম সপ্তাহের জন্য প্রশ্ন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্রের সপ্তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য বরাদ্দকৃত নম্বর হলো 16। অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের 16 নম্বর এর জন্য অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র এসাইনমেন্ট এর উত্তর তৈরি করে নিজ নিজ কলেজে জমা প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আমরা মানবিক বিভাগের ৭ম সপ্তাহের নির্ধারিত অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন সংগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। যেহেতু এখানে অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্টের ব্যাখ্যাসহ প্রশ্ন দেওয়া আছে তাই ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অর্থনীতি ২য় পত্র প্রশ্ন পড়ে খুব সহজেই এর সমাধান তৈরি করে নিতে পারবেন। নিচে এইচএসসি 2022 মানবিক বিভাগের অর্থনীতি ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন দেওয়া হল।
এইচএসসি 2022 অর্থনীতি ২য় পত্র ৭ম সপ্তম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন
স্তর: এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২
বিভাগ: মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা
বিষয়: অর্থনীতি ২য় পত্র
বিষয় কোড: ১১০
মোট নম্বর: ১২
অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪
এইচএসসি 2022 সালের অর্থনীতি ২য় পত্র ৭ম সপ্তম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
অ্যাসাইনমেন্টঃ
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর। দ্রুত শিল্পোন্নয়নে কোন ধরণের শিল্প স্থাপন করা যুক্তিযুক্ত মতামত দাও।
শিখনফলঃ
- বাংলাদেশের শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- রপ্তানিমুখী শিল্পের তালিকা প্রস্তুত করতে পারবে।
- সরকারি ও বেসরকারি অংশিদারিত্বে শিল্পোন্নয়নের সরকারি নীতির যথার্থতা বিশ্লেষণ করতে পারবে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
১ নং
শিল্পের শ্রেণিবিন্যাসঃ
শিল্পঃ শিল্প হলাে এমন একটি প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারখানার অভ্যন্তরে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রাথমিক দ্রব্যকে মাধ্যমিক দ্রব্যে এবং মাধ্যমিক দ্রব্যকে চুড়ান্ত দ্রব্যে পরিণত করা হয় তাকে শিল্প বলে। কারখানার অভ্যন্তরে শিল্পের উৎপাদন কার্য পরিচালিত হয়। এরূপ এক একটি কারখানাকে ফার্ম বলে। সাধারণভাবে কোন নির্দিষ্ট দ্রব্য উৎপাদনে নিযােজিত দেশের সকল ফার্মের সমষ্টি হল শিল্প।
শিল্পের শ্রেণিবিন্যাসঃ বাংলাদেশ শিল্পে উন্নত নয় তবে উদীয়মান। বাংলাদেশের শিল্পেকে আকার ও গঠন কাঠামোে অনুযায়ী দুটি ভাগে শ্রেণি বিন্যাস কর হয়েছে। নিম্নে তা ব্যাখ্যা করা হলােঃ
ক) আকার অনুযায়ী শিল্পের শ্রেণিবিন্যাসঃ বাংলাদেশের শিল্পসমূহ আকার অনুযায়ী মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
১। বৃহৎ শিল্প
২। মাঝারি শিল্প
৩। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
১। বৃহৎ শিল্পঃ বৃহৎ শিল্প বলতে বড় শিল্পকে বুঝায়, অথ্থাৎ যে শিল্পে অধিক মূলধন, অনেক শ্রমিক ও প্রচুর পরিমান কাঁচামাল ব্যবহার করে আধুনিক তথ্য ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে বিপুল পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় তাকে বৃহৎ বা বৃহদায়ন শিল্প বলে। এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শিল্প আইন অনুযায়ী যে শিল্প কারখানায় ২৩০ জনের অধিক শ্রমিক কাজ করে তাকে বৃহৎ শিল্প বলে। পাট, বস্ত্ৰ, সিমেন্ট, কাগজ, সার ইত্যাদি বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পের উদাহরণ।
২। মাঝারি শিল্পঃ বাংলাদেশের শিল্প আইন বা কারখানা আইন অনুযায়ী যে কারখানায় ২০ জনের বেশি কিন্তু ২৩০ জনের কম শ্রমিক নিয়ােজিত আছে তাকে মাঝারি শিল্প বলে। মাঝারি শিল্প মূলত বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শিল্পের মাঝামাঝি অবস্থান করে। মাঝারি শিল্প, বৃহৎ শিল্পের ন্যায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তবে মূলধন তুলনামূলকভাবে বৃহৎ শিল্প অপেক্ষা কম ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে বহু সংখ্যক মাঝারি শিল্প গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল চামড়া শিল্প, সিগারেট শিল্প, সাবান শিল্প ও দিয়াশলাই শিল্প।
৩। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পঃ সাধারণ অথে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প একই অথে ব্যবহৃত হয়, পরদর্শিল্প, সাবান শিল্প ও দিয়াশলাই শিল্প। তবে সুক্ষ্ম অর্থে দুযের মধ্যে পাথক্য আছে। তবে এখানে উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র শিল্পে ভাড়া করা শ্রমিক ও বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে উন্নত প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হয়। কুটির শিল্প মূলত পারিবারিক শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত হয়। মােট কথা স্থানীয় কাঁচামাল, কমমূলধন এবং পরিবারের সদস্য দ্বারা কুটির শিল্প বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদন করে থাকে। বাংলাদেশে তাঁত শিল্প, বাঁশ ও বেত শিল্প, বিড়ি শিল্প, লবণ শিল্প ইত্যাদি হল কুটির শিল্প।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
খ) কাঠামাে অনুযায়ী শিল্পের শ্রেণীবিভাগঃ
কাঠামাে অনুযায়ী বাংলাদেশের শিল্পসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।
যথাঃ
১। ভােগ্য দ্রব্য শিল্প
২। মাধ্যমিক দ্রব্য শিল্প ও
৩। মূলধনী দ্রব্যের শিল্প
১। ভােগ্য দ্রব্য শিল্পঃ যে সকল শিল্প কারখানা সরাসরি মানুষের ভােগ উপযােগী দ্রব্য তৈরী করে তাকে ভােগ দ্রব্য শিল্প দ্রব্য বলে। যেমনঃ সাবান শিল্প, চিনি শিল্প, সিগারেট শিল্প ইত্যাদি। বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশ। তাই এখানে ভােগ্য শিল্পের গুরুত্ব অত্যাধিক
২। মাধ্যমিক দ্ৰব্য শিল্পঃ যে সকল উৎপাদিত পণ্য পুনরায় অন্য দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় তাকে মাধ্যমিক দ্রব্য বলে। আর এই মাধ্যমিক দ্রব্য যে সকল কারখানায় তৈরী হয় তাকে মাধ্যমিক দ্রব্যের শিল্প বলে। যেমন- সুতা একটি উৎপাদিত দ্রব্য যা বস্ত্ৰ শিল্পে উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই সুতা শিল্পকে মাধ্যমিক শিল্প বলা হয়।
৩। মূলধনী স্ত্রব্যের শি্পঃ বাংলাদেশে মূলধনী বা ভারী শিল্প নেই বললেই চলে। তবে একটি দেশের অথনীতির ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রযােজন মূলধনী শিল্প। মূলধনী দ্রব্য যে কারখানায় তৈরী হয় তাকে মুলধনী শিল্প বলে। যেমন- জয়দেবপুর মেশিন ও টুলস্ ফ্যাক্টরী, চিটাগাং স্টিল মিল ইত্যাদি।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
২ নং
রপ্তানীমুখী শিল্পঃ
রপ্তানীমুখী শিল্পঃ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম। রপ্তানিমুখী শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে এবং এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌছতে পারে। বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী শিল্পের মধ্য গুরুত্বপূর্ণ কযেকটি শিল্প হচ্ছে পাট, বস্তু, চা, চামড়া তৈরি পােশাক ইত্যাদি।
১। পাট শিল্পঃ পাটকে সােনালি আঁশ বলা হয়। পাট বাংলার ঐতিহ্য, বাংলাদেশের ভূমি ও আবহাওয়া পাট চাষের জন্যে খুবই উপযােগী। বাংলাদেশে বর্তমানে ৭৭টি পার্ট কল আছে। এর মধ্যে ৪০টি সরকারি খাতে এবং ৩৭ টি ব্যক্তিগত খাতে। এই পাটকলগুলােতে মােট ১ লক্ষ ৪৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক কাজ করে। বর্তমানে বছরে প্রায় ৪ লক্ষ মেট্রিক টন পারটজাত দ্রব্য উৎপাদিত হয় এবং এর প্রায় ৮৫ ভাগই বিদেশে রপ্তানি হয়। পাটকলগুলােতে চট, থলে, দড়ি, কার্পেট, পদার কাপড়, জিড প্লাস্টিকের আসবাবপত্র ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। পাট থেকে মােটা সুতা, কাগজ ইত্যাদি তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে তা এখনও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। পাটজাত দ্রব্য থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮ ভাগে আসে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
২। বস্ত্ৰ শিল্পঃ বস্ত্র শিল্পের ৪টি অংশ হচ্ছে সুতা উৎপাদন, বস্ত্র উৎপাদন, রংকরণ ও প্রিন্টিং এবং তৈরি পােশাক। বিভিন্ন পর্যাযের সমস্যার মধ্যে বিভিন্নতা রয়েছে এবং সমাধানের মধ্যেও পাথক্য রয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে সুতা উৎপাদনের পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯১-৯২ সালে বাংলাদেশে ৫৯.৮ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদিত হয়। ১৯৯৬-৯৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৯.৯ মিলিয়ন কেজিতে। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। মােট চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ সুতা দেশে উৎপাদিত হয়। অবশিষ্ট সুতা আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে বস্ত্র উৎপাদনের পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে এই সময়ে রাষ্ট্রীয় খাতে পরিচালিত বৃহদায়তন মিলগুলাের উৎপাদন হ্রাস পেযেছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও তা দেশের চাহিদা সম্পূর্ণ মেটাতে সক্ষম নয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বস্ত্রের ব্যবহার দ্বিবিধ। প্রথমত, দেশের মানুষের বস্ত্রের চাহিদা পূরণ । দ্বিতীয়ত, দেশের রপ্তানিমুখী পােশাক শিল্পের চাহিদা আংশিকভাবে পূরণ। বস্ত্ৰ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বিধায় বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বস্ত্ৰ আমদানি করে। বাংলাদেশ রপ্তানীমুখী পোেশাক শিল্পের জন্য গড়ে ২-৩ বিলিয়ন মিটার কাপড় আমদানি করে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
৩। চা শিল্পঃ চা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ও রপ্তানীমূখী ফসল । চা শিল্প গ্রামীণ কমনিযােগের সুযােগ বিশেষতঃ মহিলাদের কর্মনিয়ােগের সুযােগ দেয় এবং গ্রাম অঞ্চলে দারিদ্র বিমােচনে অবদান রাখে। বাংলাদেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। গত ১০ বছরে এই বৃদ্ধির গড় বার্ষিক হার শতকরা ৩ ভাগ। বাংলাদেশে ১৯৯৭-৯৮ সালে মােট ৫৮.৬১ হাজার মেট্রিক টন চা উৎপাদিত হয়। সাম্প্রতিককালে দেশে উৎপাদনের তুলনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদার পরিমাণ বেশি হারে বৃদ্ধি পেযেছে। এজন্য রপ্তানির পরিমাণ কমে গেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৮টি চা বাগান আছে। এর অধিকাংশই বৃহত্তর সিলেট জেলায় অবস্থিত।
৪। চামড়া শিল্পঃ চামড়া শিল্প একটি রপ্তানিমুখী শিল্প। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০০টিরও অধিক চামড়াজাত দ্রব্য তৈরির কারখানা আছে। এর মধ্যে চামড়া পাকা করার কারখানা আছে ৪০টি। দেশে ১৪০ মিলিয়ন বর্গফুট চামড়া উৎপাদিত হয়, এর শতকরা ৮০ ভাগ গরুর চামড়া।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
৫। তৈরি পােশাকঃ তৈরি পােশাক ও নীট ওয়্যার শিল্প বাংলাদেশের একটি বিকাশমান শিল্প। এটি পুরােপুরি রপ্তানীমুখী শি্ ১৯৭৭-৭৮ সালে তৈরি পােশাক কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র ৯টি। বর্তমানে এই সংখ্যা ৩ হাজারের কাছাকাছি। ১৯৮১-৮২ সালে দেশে ০.১৩ মিলিয়ন ডজন পােশাকে তৈরি হয় এবং ১৯৯৮-৯৯ সালে প্রায় ৭৪ মিলিয়ন ডজন তৈরি পােশাক উৎপাদিত হয় এবং এ থেকে ৩.২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা হয়। একই বছরে নীট ওয়্যার দ্রব্য রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১.১৫ বিলিয়ন ডলার।
এই উভয় উৎস থেকে দেশের শতকরা ৭৫ ভাগ রপ্তানি আয় হয়। বাংলাদেশের তৈরি পােশাকের প্রধান বাজার আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। নীটওয়্যার দ্রব্যের প্রধান বাজার ইউরােপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। বাংলাদেশী রপ্তানি পণ্য এসব দেশে কিছু বাণিজ্যিক সুবিধা ভােগ করে। এটি একটি আমদানি নির্ভর শিল্প। এই শিল্পের প্রয়োজনীয় উপাদান আমদানি করতে এই শিল্পের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৭০ ভাগ ব্যয়িত হয়।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
৩ নং
সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের শিল্পোন্নয়নে সরকারি নীতির যথার্থতা বিশ্লেষণঃ
সরকারি অনুমােদন ও সহায়তায় বেসরকারি অধায়ন ও পরিকল্পনায় যে ব্যায় কা্যক্রম সম্পাদিত হয় তাকে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব ভিত্তিক ব্যবসায় বলে। একটা দেশের সরকারকে উন্নয়নমূলক ক্মকান্ড পরিচালনা করতে হয় এবং এতে প্রচুর অর্থের প্রযােজন হয়। তখন সরকার এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন ও পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি খাতের উপর ছেড়ে দেয়। অর্থাৎ সরক র প্রকল্প অনুমােদন করে দেয় আর বেসরকারি খাত এসব প্রকল্পে অর্থায়ন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।
প্রকল্পের চুক্তি মােতাবেক প্রকল্পটি পরিচালনা করে বেসরকারি পক্ষ। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব ভিত্তিক ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হল বর্তমান প্রতিযােগিতাশীল বিশ্বে সরকারি অথ্থায়নের অভাবে কোন সম্ভাবনাময় খাত থেকে যেন জনগণ সুবিধা বঞ্চিত না হয়। অন্যদিকে বিদেশী ঋণের উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা না করার ম মাধ্যমে বিদেশী বা দাতা সংস্থার ঋণের নির্ভরশীলতা কমানাে এই ধরনের অংশীদারিত্বমূলক ব্যবসায়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। অথনৈতিক উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে পৃথকভাবে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাইরে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
বিশেষতঃ ভৌত অবকাঠামােগত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মােট ১,৪৩২ টি বেসরকারি প্রকল্পে বিনিযােগ প্রস্তাবনার পরিমাণ ছিল ৬৮,২৯১ কোটি টাকা। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দাঁড়িয়েছে। ৮৯৪ টি প্রকল্পে মােট ৫৩.৬৯৭ কোটি টাকা। ব্যক্তিখাতে তৈরি পােশাক ওম নীটওয়ার শিল্পের বিকাশ শিল্প খাতকে গতিশীল করে তুলছে এবং দেশে বিনিযােগ-সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। ফলে এ খাতে বিদেশি বিনিযােগ আকৃষ্ট হযেছে।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে (ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত) মােট উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২২,৬৯১ মিলিয়ন কিলোওয়াট আওয়ার যার ৪৫.৫১ শতাংশই বেসরকারি খাতে উৎপাদিত হযেছে এবং ৬.৯১ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি খাত হতে এসেছে। অর্থবছরে দেশের মােট বিনিযােগ জিডিপির ২৮.৯৭ শতাংশ যার মধ্যে বেসরকারি খাতের অবদান ২২.০৭ শতাংশ। দেশের খরছে ২০১৪-১৫ অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিরদিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানাের ক্ষেত্রে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর
বাকি এসাইনমেন্ট দেখতে ক্লিক করুন ।
এইচএসসি 2022 [৭ম সপ্তাহ] অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর
বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড করতে এক সপ্তাহ সপ্তাহের প্রকাশিত অর্থনীতি ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর মাধ্যমে নির্ভুল সমাধান তৈরি করে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। ফলে এইচএসসি 2022 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ৭ম সপ্তাহের নির্ধারিত অর্থনীতি ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ছাত্র-ছাত্রীরা কোন রকম খরচ এবং ঝামেলা ছাড়াই এখান থেকে অর্থনীতি এসাইনমেন্ট এর উত্তর সংগ্রহ করে নিতে পারবেন যা এইচএসসি 2012 সালের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্টে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সহযোগিতা প্রদান করবে। ৭ম সপ্তাহের নির্ধারিত
অর্থনীতি ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করুন।
তোমার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। তাহলে তারাও খুব সহজে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবে ।
https://youtu.be/vq-h5jG5RC4
তোমার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। তাহলে তারাও খুব সহজে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবে ।
এইচএসসি ইসলামের ইতিহাস ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট
এইচএসসি ব্যাচ ২০২১ ব্যবসায় সংগঠন ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর
এসএসসি প্রথম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
Finance and Banking 1st Week Assignment Answer
Biology 1st Week Assignment Answer
Business Entrepreneurship 1st Week Assignment Answer
৯ম শ্রেণীর ৯ম সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এস এস সি ( SSC ) দ্বিতীয় সপ্তাহের সকল এসাইনমেন্ট উত্তর
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর
ইংরেজি এসাইনমেন্ট উত্তর
পদার্থ বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
হিসাব বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর
পৌরনীতি ও সুশাসন এসাইনমেন্ট উত্তর
যুক্তিবিদ্যা এসাইনমেন্ট উত্তর