বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ | এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩য় সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত ভূগোল এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর জমা গ্রহণের পর আজ ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর বিষয় এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন প্রকাশ করেছে। আমরা বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা প্রশ্ন সংগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রশ্ন এবং এর উত্তর প্রদানের প্রদান করে থাকি। এর লক্ষ্যে আজ আমরা এইচএসসি 2021 মানবিক বিভাগের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন এবং প্রশ্নের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করেছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ ভূগোল ২য় এসাইনমেন্ট সমাধান
আপনি যদি এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রকাশিত এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আপনি আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেলটির মাধ্যমে এইচএসসি 2021 সালের মানবিক বিভাগের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লেখার সঠিক দিকনির্দেশনা পাবেন। যা আপনাকে এসেছি 2021 সালের ৩য় সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টে পূর্ণাঙ্গ নম্বর পেতে সহযোগিতা প্রদান করবে। এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করতে পুরো পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
HSC ব্যাচ 2021 মানবিক বিভাগ ৩য় সপ্তাহ সকল বিষয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর
এইচএসসি ব্যাচ 2021 পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মানবিক বিভাগের ৩য় সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত বিষয়সমূহ হলঃ অর্থনীতি, পৌরনীতি ও সুশাসন, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ভূগোল এবং যুক্তিবিদ্যা। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এইচএসসি মানবিক বিভাগের ৩য় সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত প্রতিটি বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন এবং এর সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কেননা একমাত্র আমরাই বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এইচএসসি 2021 সালের প্রকাশিত সকল অ্যাসাইনমেন্টের সবার আগে সর্বপ্রথম বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন এবং এর নির্ভুল উত্তর প্রকাশ করে থাকি। ফলে ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এইচএসসি 2021 সালের সকল বিভাগের সকল বিষয়ের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
যেহেতু করণা মহামারীর কারণে এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষার্থীদের কেবল নৈর্বাচনিক বিষয় উপরে এসাইনমেন্ট এবং পরীক্ষা হবে। তাই কোন রকম অবহেলা না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এইচএসসি মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর সংগ্রহ করে আপনার এসাইনমেন্ট তৈরি করে নিন। এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের ৩য় সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
HSC Geography Work 3rd Week Assignment Answer 2021
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনিক বিষয় ভূগোল দ্বিতীয় পত্র তৃতীয় এসাইনমেন্ট হিসেবে পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় জনসংখ্যার বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য বন্টন বিশ্লেষণ সংক্রান্ত একটি এসাইনমেন্ট করতে দেয়া হয়েছে।
এখানে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের মানবিক বিভাগের ভূগোল ২য় পত্র এসাইনমেন্ট এবং সমাধান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা হলো।
মানবিক বিভাগ থেকে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের এসাইনমেন্ট যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করে সম্পন্ন করার পর সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
সকল সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ভূগোল দ্বিতীয় পত্র দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট নেয়া হয়েছে পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জনসংখ্যা থেকে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এর আলোকে শিক্ষার্থীরা ভূগোল বিষয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে গিয়ে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান ব্যাখ্যা করতে পারবে, জনসংখ্যার অভিগমনের কারণ, ধরন ও প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারবে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার জনমিতিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে, জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেলের আলোকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ব্যাখ্যা করতে পারবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
নিচের ছবিতে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মানবিক বিভাগের ভূগোল দ্বিতীয় পত্র দ্বিতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ তৃতীয় সপ্তাহের ভূগোল এসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর,
বিষয়ঃ ভূগোল ২য় পত্র
অ্যাসাইনমেন্ট নং-০২,
অধ্যায় ও শিরোনামঃ দ্বিতীয় অধ্যায় (জনসংখ্যা)
অ্যাসাইনমেন্টঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ
- জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- জনসংখ্যার অভিগমনের কারণ, ধরণ ও প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- বাংলাদেশের জনসংখ্যার জনমিতিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেলের আলােকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
১. জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান;
২. জনসংখ্যা অভিগমনের কারণ, ধরন ও প্রভাব;
৩. বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য;
৪. জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেল ও বাংলাদেশ;
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ তৃতীয় সপ্তাহের ভূগোল এসাইনমেন্ট উত্তর
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদানঃ
জনসংখ্যার পরিবর্তন বলতে কোনাে দেশ বা অঞ্চলে জনসংখ্যার আকারগত পরিবর্তনকে বুঝানাে হয়ে থাকে। এই পরিবর্তন পর্যালােচনার মাধ্যমে জনমিতিক ভারসাম্য নিরীক্ষণ করা যায়। এতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ – বাস্তবায়ন সহজ হয়। জনসংখ্যা পরিবর্তনের মুখ্য নিয়ামক হলাে জন্ম, মৃত্যু এবং অভিগমন। জন্ম ও মৃত্যুহার পরিমাপের বহুল প্রচলিত পদ্ধতি হলাে যথাক্রমে স্থূল জন্মহার এবং স্থূল মৃত্যুহার। জনসংখ্যার পরিবর্তন নির্ভর করে জন্মহার অভিগমনের ফলে। জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং মৃত্যু ও অভিগমনের ফলে জনসংখ্যার হ্রাসমূলক সংখ্যাত্মক পার্থক্যের উপর। জনসংখ্যার আকার প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সাধারণ জনসংখ্যা পরিবর্তনের তিনটি নিয়ামক রয়েছে। এগুলো হলাে- ক. জন্মহার খ. মৃত্যুহার এবং গ. অভিবাসন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
ক. জন্মহার (Birth Rate) :
জনসংখ্যা পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামক হলাে জন্মহার । মানুষের মরণশীলতার কারণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়, তা সন্তান জন্মের মাধ্যমে পূরণ হয়। কোনাে নির্দিষ্ট একটি বছরে প্রতি হাজার নারীর সন্তান জন্মদানের মােট সংখ্যাকে জন্মহার বলে। সাধারণত ১ থেকে ৪৫ বা ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের প্রজনন ক্ষমতা(Fertility) থাকে। এটি নির্ণয় করা হয় নিম্নোক্তভাবে-
তবে প্রজননশীলতা পরিমাপের বহুল প্রচলিত পদ্ধতি স্থূল জন্মহার বা Crude Birth Rate (CBR)। এ পদ্ধতিতে কোনাে বছরে জন্মিত সন্তানের মােট সংখ্যাকে উক্ত বছরের মধ্যকালীন মােট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে নির্ণয় করা হয়। স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের জন্য কোনাে দেশ বা অঞ্চলের মােট জনসংখ্যা এবং ঐ বছরে জন্মিত সন্তান সংখ্যা জানা থাকা প্রয়ােজন। তবে প্রজননশীলতা পরিমাপের বহুল প্রচলিত পদ্ধতি স্থূল জন্মহার বা Crude Birth Rate (CBR)। এ পদ্ধতিতে কোনাে বছরে জন্মিত সন্তানের মােট সংখ্যানে উক্ত বছরের মধ্যকালীন মােট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ কর নির্ণয় করা হয়। স্থূল জন্মহার নির্ণয় করা হয় নিম্নোক্তভাবে-
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
খ. মৃত্যুহার (Death Rate) :
মরণশীলতাই মানুষে স্বাভাবিক ধর্ম। কিন্তু জন্মহার অপেক্ষা মৃত্যুহার কম হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আর মরণশীলতা পরিমাপের বহুর প্রচলিত পদ্ধতি স্থূল মৃত্যুহার বা Crude Death Rat (CDR)। নির্দিষ্ট কোনাে বছরে মৃত্যুবরণকারীদের মােট জনসংখ্যাকে উক্ত বছরের মধ্যকালীন মােট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে স্থূল মৃত্যুহার পাওয়া যায়। স্থূল মৃত্যুহার নির্ণয়ের জন্য কোনাে দেশ বা অঞ্চলের মােট জনসংখ্যা এবং ঐ বছরে মৃতের সংখ্যা জানা থাকা প্রয়ােজন। স্থূল মৃত্যুহার নির্ণয় কর হয় নিম্নোক্তভাবে-
গ. অভিগমন (Migration) :
স্থায়ীভাবে বসবাস করা জন্য উৎসস্থল থেকে গন্তব্যস্থলে যাওয়াকে অভিগমন বলে। বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় জনসংখ্যা পরিবর্তনে অভিগমনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কোনাে দেশ বা অঞ্চল থেকে ব্যাপকহারে লােক গমন বা আগমন করলে জনসংখ্যার পরিবর্তন হয়। এক্ষেত্রে যখন একই দেশের অভ্যন্তরে অভিগমন করে তখন দেশের অভ্যন্তরে জনসংখ্যার পরিবর্তন হয়। আবার যখন একদেশ থেকে অন্যদেশে গমন করে, তখন আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে জনসংখ্যার পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ বহির্গমনের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা হ্রাস পায় এবং বহিরাগমণে ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশসমূহ থেকে উন্নত দেশসমূহে অভিগমনের প্রবণতা দেখf যায়। বর্তমানে যােগাযােগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় অভিগমন অত্যন্ত সহজ হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেল ও বাংলাদেশঃ
অভিগমন ও প্রকারভেদ:
আমাদের চারপাশের অসংখ্য মানুষ প্রয়ােজনের তাগিদে প্রতিনিয়ত একস্থান থেকে অন্যস্থানে, একদেশ থেকে অন্যদেশে গমন করছে। যেমন- কর্মসূত্রে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন, জীবিকানির্বাহের জন্য গমন, ব্যবসা, বাণিজ্যের জন্য গমন প্রভৃতি। মানুষের এই গমন কখনাে স্থায়ী আবার কখনাে বা অস্থায়ী হয়ে থাকে। এ সকল যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে অনেক সময় মানুষ নিজের বাসস্থল পরিবর্তন করে অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে বসবাস করে। মানুষের এরূপ স্থায়ী বা অস্থায়ী আবাসের পরিবর্তনই হলাে অভিগমন।
জাতিসংঘের মতে, এক বা একাধিক বছরের জন্য বাসস্থানের পরিবর্তনকে অভিগমন বলে। Brain Goodall এর মতে, “Migration is the permanent or semi permanent change of a person’s place of residence”. E.S. Lee অভিগমন সম্পর্কে বলেন, “বাসস্থানের স্থায়ী বা অস্থায়ী পরিবর্তনই হলাে অভিগমন। অভিগমনকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক. প্রকৃতি অনুযায়ী অভিগমন এবং খ. স্থানভেদে অভিগমন।
ক. প্রকৃতি অনুযায়ী অভিগমন : অনেক সময়ে মানুষ নিজে ইচ্ছায় একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে থাকে। আবার অনেক সময় নিজ বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ ধরনের অভিগমনকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা- ১. অবাধ অভিগমন এবং ২. বলপূর্বক অভিগমন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
খ. স্থানভেদে অভিগমন : স্থানভেদে অভিগমনকে প্রধানত দু ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- অন্ত:রাষ্ট্রীয় অভিগমন এব আন্তর্জাতিক অভিগমন।
১. অন্ত:রাষ্ট্রীয় অভিগমন (Intra-state Migration) :
অন্ত:রাষ্ট্রীয়, অর্থাৎ একটি রাষ্ট্রের ভৌগােলিক সীমানার অভ্যন্তরে কোনাে ব্যক্তি যখন আবাসস্থান পরিবর্তন করে তখন তাকে অন্ত:রাষ্ট্রীয় অভিগমন বলে। এ ধরনের অভিগমন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়। যেমন- ঠাকুরগাঁও থেকে কেউ যদি বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এসে বসবাস করে তখন তাকে অন্ত:রাষ্ট্রীয় অভিগমন বলে।
২. আন্তর্জাতিক অভিগমন (International Migration) :
কোনাে দেশের মানুষ যখন নিজ দেশের ভৌগােলিক সীমানা অতিক্রম করে অন্য দেশে গিয়ে বসবাস করে, তখন তাকে আন্তর্জাতিক অভিগমন বলে। অর্থাৎ ‘আন্তর্জাতিক অভিগমনের ক্ষেত্রে নিজ দেশের ভৌগােলিক সীমানা অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে। তবে ইচ্ছা করলেই আন্তর্জাতিক অভিগমন করা যায় না। এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধত রয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক অভিগমনের উৎস এবং গন্তব্যস্থান উভয়ের নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অভিগমন সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে উত্তর আমেরিকা ইউরােপ, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, চীন, জাপান প্রভৃতি রাষ্ট্র অঞ্চলের মধ্যে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
অভিগমনের কারণ:
মানুষ সাধারণত প্রয়ােজনের তাগিদে নতুবা বাধ্য হয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে থাকে। আদিকাল থেকেই মানুষের এই গমন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তখনকার দিনে মানুষ খাবার ও নিরাপত্তার প্রয়ােজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেড়াতাে। কালক্রমে মানুষের চাহিদার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিগমনের কারণও বহুমাত্রিক রূপ লাভ করেছে। অভিগমন প্রক্রিয়ায় একদিকে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান হিসেবে গন্তব্যস্থলের সুযােগ-সুবিধা, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ইত্যাদি আকর্ষণ করে।
১. অর্থনৈতিক : মানুষ তার অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণের জন্য একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে থাকে। অর্থের প্রয়ােজনে দেশের অভ্যন্তরে অথবা দেশের বাইরেও অভিগমন করতে পারে। বাংলাদেশ সাধারণত অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ । এ অঞ্চলের মানুষ অধিক অভিগমন করে থাকে।
২. জীবিকার সন্ধান : জীবিকার সন্ধানে মানুষ প্রতিনিয়ত একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে চলেছে। যেমন-বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকা থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর প্রভৃতি শহরে জীবিকা সন্ধানে মানুষ ছুটছে। আবার আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরােপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জীবিকার সন্ধানে অভিগমন করছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
৩. চাকুরি : সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত লােকজন একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে যা অভিগমনের একটি অন্যতম কারণ। বর্তমানে বহুমুখী চাকুরির সুযােগ সৃষ্টি হওয়ায় এটি অভিগমনে বিশেষ ভূমিক রাখছে।
৪. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন : গ্রামের তুলনায় শহরে, ছােট শহরের তুলনায় বড় শহরে, অনুন্নত দেশের তুলনায় উন্নত দেশে জীবনযাত্রার মান ভালাে হওয়ায় মানুষ এ সকল স্থানের প্রতি অধিক আকৃষ্ট হয় এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের চেষ্টা করে।
৫. বিশ্বায়ন : অভিগমনের একটি অন্যতম কারণ বিশ্বায়ন। বিশ্বায়নের ফলে মানুষের কাছে সবকিছুই সহজ হয়েছে। মার্শাল ম্যাকলুহান পৃথিবীকে ‘গ্লোবাল ভিলেজ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
৬. নগরায়ন ও শিল্পায়ন : নগরায়ন প্রক্রিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পেতে গ্রামীণ এলাকা থেকে মানুষ নগরে এসে বসবাস শুরু করে। সাধারণত সুযােগ-সুবিধা অধিক থাকায় মানুষ শহরমুখী হতে থাকে। যা নগর এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। নগর এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, অফিস-আদালত প্রভৃতির আধিক্য থাকায় তা সহজেই মানুষকে অভিগমনে আকৃষ্ট করে থাকে। নগর এলাকায় শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্রের আশেপাশে মানুষের ঘনত্ব বেশি হয়ে থাকে এবং শ্রমজীবি মানুষের একটি বড় অংশ বস্তিতে নিম্নতর জীবনযাপন করে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
অভিগমনের প্রভাব :
অভিগমনের ফলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বহুবিধ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে অভিগমনে উল্লেখযােগ্য প্রভাবসমূহ বর্ণনা করা হলাে-
১. জনসংখ্যার পরিবর্তন :
অভিগমনে উৎস ও গন্তব্যস্থলের জনসংখ্যা পরিবর্তিত হয়। এর ফলে যত লােক উৎসস্থল ত্যাগ করে তত সংখ্যক লােক গন্তব্যস্থলে যুক্ত হয়। এর ফলে উৎসস্থলে লােক কমে গিয়ে গন্তব্যস্থলে বৃদ্ধি পায়। যেমন- বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের লােক রাজধানী ঢাকার দিকে গমন করছে এবং ধারণ ক্ষমতায় অতিরিক্ত জনসংখ্যা বহাল হচ্ছে।
২. কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন :
সাধারণত কর্মের সন্ধানে অধিকাংশ মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে। গন্তব্যস্থলে যে কোনাে ধরনের কর্ম হােক না কেনাে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এতে অভিগমনকারীর জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন হয়। এতে বস্তি এলাকায় বসবাসকারী অভিবাসীদের জীবনযাত্রার মানে তেমন কোনাে পরিবর্তন হয় না। আবার আন্তর্জাতিক অভিগমনের ক্ষেত্রে অভিগমনকারী পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয় এবং অভিবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
৩. শহরে বেকারত্ব বৃদ্ধি :
যেসব শহরে অধিক হারে অভিগমনকারী আগমন করে সেসব শহরে বেকারত্ব বৃদ্ধি পTয়। কারণ অধিক সংখ্যক লােকের কর্মসংস্থান অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
৪. অর্থনৈতিক গতিশীলতা :
অভিগমনের ফলে অভিগমনকারীর পরিবারে অর্থনৈতিক গতিশীলতা দেখা যTয়। যেমন- কোনাে ব্যক্তি গ্রাম থেকে শহরে গমন করলে শহর থেকে গ্রামে অর্থ প্রেরণ করে অথবা বিদেশে অভিগমন করলে দেশে বসবাসরত পরিবারের জন্য অর্থ প্রেরণ করে। এতে গ্রামীণ বা শহুরে পরিবারটি অর্থনৈতিকভাবে গতিশীল হয়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যঃ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাের (বিবিএস) উপাত্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৫৭ লাখ। এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলােমিটারে প্রায় ১১১৬ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৩%। বাংলাদেশে পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১০০.২:১০০। দেশে অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী (০-২৫ বছর বয়সীর মােট জনসংখ্যার ৬০%, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মা ৬%)। এখানকার পুরুষ ও মহিলাদের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮% মানুষ বাঙালি। বাকি ২% মানুষ বিহারী বংশদ্ভুত, অথবা বিভিন্ন উপজাতির সদস্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা উপজাতি প্রধান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাইরের উপজাতিগুলাের মধ্যে গারাে ও সাঁওতাল উল্লেখযােগ্য। দেশের ৯৮% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। সরকারী কাজ কর্মে ইংরেজিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ১৯৮৭ সাল হতে কেবল বৈদেশিক যােগাযােগ ছাড়া অন্যান্য সরকারি কর্মকান্ডে বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জনগােষ্ঠীর প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম (৯০.৪%)। এরপরেই রযেছে হিন্দু ধর্ম(৮.৫%), বৌদ্ধ(০.৬%), খ্রীস্টান (০.৩%) এব অন্যান্য (০.১%)। মােট জনগােষ্ঠীর ২১.৪% শহরে বাস করে, বাকি ৭৮.৬% গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। বাংলাদেশের ‘জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্র সীমার নিচে, বাস করে। মােট জনগােষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। ২০০৫ সালের হিসাবে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৪১%। ইউনিসেফের ২০০৪ সালের হিসাবে পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫০% এবং নারীদের মধ্যে ৩১%।
জনমিতিক ট্রানজিশনাল মডেল ও বাংলাদেশঃ
জনমিতিক ট্রানজিশন মডেল ও বাংলাদেশ: জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে এদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের সাথে জনসংখ্যার একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। জনমিতিক ট্রানজিশন মডেলের আলােকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশ জনসংখ্যা উত্তরণের কোন পর্যায়ে রয়েছে তা স্পষ্ট বুঝা যায়। সারণি-তে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ও এর বৃদ্ধির হার দেখানাে হলাে।
সারণি পর্যালােচনা করলে দেখা যায় যে, ১৯১১ সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম পর্যায়ের। এ সময় জন্ম ও মৃত্যুহার উচ্চ ছিল বলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম ছিল। ১৯৫১ সালের পর থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি থাকায় মােট জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৫১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৪8.২ মিলিয়ন যা ১৯৯১ সালে দ্বিগুণের বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে ১১১.৫ মিলিয়ন। বিশ শতকের ৬০ থেকে ৯০ এর দশকে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নত হতে থাকে। এসময় মৃত্যুহার হ্রাস পেতে থাকলেও এ তুলনায় জন্মহার হ্রাস পায়নি। ফলে এ সময়ে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
আবার ১৯৯১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে যা ২০১১ সালে ১.৪৭% এ দাঁড়ায়। এ সময় জন্ম ও মৃত্যুহার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে। সুতরাং বলা যায় যে, বাংলাদেশ জনমিতিক ট্রানজিশন মডেলের দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষ প্রান্তে এবং তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ দ্রুত আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করছে। শিল্পক্ষেত্রেও অগ্রগতি লাভ করছে এবং নতুন নতুন শিল্প স্থাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অনেক দূর এগিয়েছে এবং মৃত্যুহার কমেছে। মানুষের মধ্যে জন্মহার নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা শুরু হয়েছে এবং গড় আয়ু বেড়েছে। এতে জন্ম ও মৃত্যুহার নিম্নমুখী হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ দ্রুতই জনমিতিক ট্রানজিশন মডেলের তৃতীয় পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করা যায়।
এই ছিল এসাইনমেন্ট এর উত্তর
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের মানবিক বিভাগের নৈর্বাচনিক বিষয় ভূগোল দ্বিতীয় পত্র দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট এ দেওয়া নির্দেশনায় প্রশ্নসমূহ ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন রুবিকস এর আলোকে সমাধান করে দেয়া হলো।
এইচএসসি 2021 সালের ভূগোল ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন
এবার এইচএসসি 2021 তৃতীয় সপ্তাহের ভূগোল অ্যাসাইনমেন্ট পুনঃনির্ধারিত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আলোকে ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জনসংখ্যা থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। যেহেতু উত্তর লেখার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্ন পড়া এবং বুঝা খুব জরুরী। তাই আমরা এইচএসসি ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর প্রকাশের পূর্বে প্রশ্ন প্রকাশ করেছি। এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা প্রশ্ন সংগ্রহ করতে সমস্যার সম্মুখীন হন।
আমরা বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এইচএসসি মানবিক বিভাগের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন সংগ্রহ আপনাদের মধ্যে তুলে ধরেছি। এছাড়াও এইচএসসি 2021 ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছি যাতে ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই প্রশ্ন বুঝে উত্তর তৈরি করতে পারে। এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন নিচে দেওয়া হল।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
আপনি কি এইচএসসি 2021 সালের মানবিক বিভাগের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর খুঁজছেন? তাহলে কোন রকম খরচ এবং ঝামেলা ছাড়াই আপনি আমাদের ওয়েবসাইট TechnicalMomin.Com থেকে এইচএসসি 2021 সালের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইটের বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা এইচএসসি 2021 সালের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর প্রদান করে থাকি। তাই আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে মানবিক বিভাগের ভূগোল ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর সংগ্রহ করে এসাইনমেন্ট তৈরীর মাধ্যমে পরীক্ষায় A+ সহ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে যেতে পারেন।
এইচএসসি 2021 ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড এর পূর্বে অবশ্যই প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে বুঝে এবং প্রশ্নের নং অনুযায়ী ভূগোল অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করে নিন। এইচএসসি ব্যাচ 2021 ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
প্রিয় এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আপনারা যারা এইচএসসি 2021 ভূগোল ৩য় সপ্তাহের পিডিএফ উত্তর চাচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কেননা আমরা প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট এর লিখিত উত্তরের পাশাপাশি এর পিডিএফ অথবা জেপিজি ফাইল প্রকাশ করে থাকি। এর ধারাবাহিকতায় আজ আমরা এইচএসসি ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তরের পিডিএফ এবং জেপিজি ফাইল প্রদান করেছি।
৩য় সপ্তাহের ভূগোল এসাইনমেন্ট উত্তর PDF Download
ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর পিডিএফ অথবা জিপি-জিপি ডাউনলোড করে পরবর্তীতে অফলাইনে থেকে অ্যাসাইনমেন্ট খাতায় সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এতে করে ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারনেট খরচ খুব কম হবে। এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের ভূগোল ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পিডিএফ অথবা জেপিজি ফাইল ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যার জনমিতিক উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও বন্টন বিশ্লেষণ
তোমার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। তাহলে তারাও খুব সহজে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবে ।
এইচএসসি ইসলামের ইতিহাস ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট
এইচএসসি ব্যাচ ২০২১ ব্যবসায় সংগঠন ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর
এসএসসি প্রথম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
Finance and Banking 1st Week Assignment Answer
Biology 1st Week Assignment Answer
Business Entrepreneurship 1st Week Assignment Answer
৯ম শ্রেণীর ৯ম সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এস এস সি ( SSC ) দ্বিতীয় সপ্তাহের সকল এসাইনমেন্ট উত্তর
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর
ইংরেজি এসাইনমেন্ট উত্তর
পদার্থ বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
হিসাব বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর
পৌরনীতি ও সুশাসন এসাইনমেন্ট উত্তর
যুক্তিবিদ্যা এসাইনমেন্ট উত্তর