২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ইতিহাস
সাধারণ শিক্ষা বোর্ড সমূহের আওতাধীন সরকারি বেসরকারি কলেজের মানবিক বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট আটটি নৈর্বাচনিক বিষয় সমূহের অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এরমধ্যে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারণ করা নৈর্বাচনিক বিষয় এর এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে। এখানে মানবিক বিভাগের ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলাম শিক্ষা, শিশুর বিকাশ, অর্থনীতি, পৌরনীতি ও সুশাসন, খাদ্য ও পুষ্টি বিশ্বের প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
এইচ এস সি পরীক্ষা ২০২১ প্রথম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট মানবিক বিভাগ
HSC Examination 2021 1st Week Assignment for Humanities (Arts)
এইচএসসি 2021 সালের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ইতিহাস বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডক্টর দীপু মনির ঘোষণা অনুযায়ী। আজ বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অন্যান্য বিষয়ের সাথে সাথে মানবিক বিভাগের ইতিহাস বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশ করল। যা এইচএসসি 2021 সালের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। আমরা এইচএসসি 2021 এর ইতিহাস প্রথম পত্র বা প্রথম সপ্তাহের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর সম্পন্ন করে আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। আপনি যদি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হন এবং ইতিহাস আপনার মূল বিষয় হয়ে থাকে তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য।
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট
কেননা আপনি আমাদের প্রকাশিত এই পোষ্টের মাধ্যমে এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ইতিহাস প্রথম সপ্তাহের প্রশ্ন সহ পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেয়ে যাবেন। যেহেতু এবছর করণা মহামারীর কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সকল বিষয়ের উপর সরাসরি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড অ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের বোর্ড পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে নিজ নিজ কলেজে জমা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষার্থীদের ইতিহাস প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর পেতে পুরো পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
এইচএসসি মানবিক বিভাগ সকল বিষয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ব্যাচ 2021
আপনি কি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের 2021 সালের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী? এবং একসাথে এইচএসসি মানবিক বিভাগের জন্য প্রকাশিত সকল বিষয়ের একসাথে উত্তর চাচ্ছেন। তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সবার আগে সর্বপ্রথম এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের সকল বিষয়ের একসাথে পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেয়ে যাবেন। কেননা একমাত্র আমরা আমাদের ওয়েবসাইট allexamresult.com এর মাধ্যমে সবার আগে সর্বপ্রথম ধারাবাহিকভাবে মানবিক বিভাগের সকল সপ্তাহের সকল বিষয়ে সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রদান করে থাকি।
যেহেতু এবছর এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষার্থীদের শুধুমাত্র গ্রুপ বিষয়ের উপর এইচএসসি পরীক্ষা হবে৷ তাই বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি শিক্ষার্থীদের শুধু গ্রুপ বিষয়ে ওপর অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করেছে। এইচএসসি মানবিক বিভাগের গ্রুপ বিষয়গুলো হল অর্থনীতি, পৌরনীতি ও সুশাসন, যুক্তিবিদ্যা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইতিহাস, ইসলাম শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ভূগোল। এই বিষয়গুলোর বিতর যাদের মূল বিষয় রয়েছে শুধুমাত্র মূল বিষয়ের উপর অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর জমা প্রদান করতে হবে। এইস এস সি ব্যাচ 2021 এর মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
(HSC 2021 History First Paper 1st Assignment)
এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ইতিহাস প্রথম সপ্তাহের জন্য তাদের পুনঃনির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী তৃতীয় অধ্যায়ঃ ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। যেহেতু অনেক ছাত্র ছাত্রীর পক্ষে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একসাথে সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন থেকে নির্দিষ্ট অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন সংগ্রহ করতে সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিটি বিষয় ভিত্তিক আলাদা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশ করে থাকি।
এইচ এস সি ইতিহাস ১ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ব্যাচ 2021
ফলে আপনারা খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিটি বিষয় ভিত্তিক আলাদা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ইতিহাস প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশ করেছি। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে প্রতিটি বিষয়ের ব্যাখ্যা সহ প্রশ্ন প্রকাশ করে থাকি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের ব্যাখ্যা বসে নিজে নিজেই উত্তর তৈরি করতে অথবা খুব সহজেই উত্তর খুঁজে পেতে সক্ষম হন। এইচএসসি এবার 2021 ইতিহাস প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন নিচে দেওয়া হল।
এইচএসসি ২০২১ প্রথম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট
মানবিক বিভাগের ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ইতিহাস প্রথম পত্র বিশ্বের প্রথম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর নির্ধারণ করা হয়েছে পাঠ্যবইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ঃ ইংরেজ শাসন; ব্রিটিশ আমল থেকে।
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট (HSC 2021 History First Paper 1st Assignment) সম্পন্ন করতে গেলে শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ভারতবর্ষের খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে, ব্রিটিশ শাসন আমলে ভারতবর্ষের স্বাধিকার ও রাজনৈতিক আন্দোলনের ফলাফল মূল্যায়ন করতে পারবে, লাহোর প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট ও বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে;
নিচের ছবিতে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট (HSC 2021 History First Paper 1st Assignment) এর বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো
এইচ এস সি ইতিহাস প্রথম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট প্রশ্ন 2021
স্তর: এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১
বিভাগ: মানবিক
বিষয়ঃ ইতিহাস
পত্র: প্রথম
বিষয় কোড-৩০৪
অ্যাসাইনমেন্ট নং-১
তৃতীয় অধ্যায়: ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
অ্যাসাইনমেন্টঃ খিলাফত আন্দোলন ও অসহযােগ আন্দোলনের প্রকৃতি এবং ১৯৪০ সালের লাহাের প্রস্তাব ও এর বৈশিষ্ট্য নিরূপণ;
শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ
ব্রিটিশ বিরােধী আন্দোলনে ভারতবর্ষের খিলাফত আন্দোলন ও অসহযােগ আন্দোলনের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে;
ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষের স্বাধিকার ও রাজনৈতিক আন্দোলনের ফলাফল মূল্যায়ন
করতে পারবে;
লাহাের প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট ও বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে;
নির্দেশনা (সংকেত/পরিধি/ধাপ):
১. খিলাফত আন্দোলনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা;
২. অসহযােগ আন্দোলনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা;
৩. খিলাফত আন্দোলন ও অসহযােগ আন্দোলনের ফলাফল বিশ্লেষণ;
৪. লাহাের প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট ও বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা;
HSC 2021 History First Paper 1st Assignment Answer
খিলাফত আন্দোলন যা ভারতীয় মুসলিম আন্দোলন (১৯১৯-১৯২৪) নামেও পরিচিত, ইসলামী খেলাফত পুনরুদ্ধার করতে ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা শওকত আলী, মোহাম্মদ আলী জওহর ও আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সর্ব-ইসলামবাদ রাজনৈতিক প্রতিবাদ অভিযান করে। যেখানে উসমানীয় খিলাফতের একজন যিনি সুন্নি মুসলমানদের নেতা হিসাবে কার্যকর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব হিসাবে বিবেচিত ছিলেন। এটি সেভ্র চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে খলিফা এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ ছিল।১৯২২ সালের শেষদিকে তুরস্ক আরও অনুকূল কূটনৈতিক অবস্থান অর্জন করে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে অগ্রসর হলে এই আন্দোলন ভেঙে যায়। ১৯২৪ সালের মধ্যে তুরস্ক খলিফার ভূমিকা কেবল বাতিল করে দিয়েছিল।
খিলাফত আন্দোলনের প্রকৃতিঃ
ভারতের মুসলমানের তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা ধর্মীয় নেতা বলেশ্রদ্ধা করতেন।কিন্তু তুরস্কের সুলতান বৃটিশ বিরোধী শক্তির জার্মানির পক্ষ অবলম্বন করতে করলে ভারত মুসলমানের সম্প্রদায় বিব্রত হন। খলিফার অনুগত আবার অন্যদিকে রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের অনুগত থাকতে বাধ্য। দেশের সরকার হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভারতীয় মুসলমানরা ব্রিটিশ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। স্বপ্ন ছিল যে এই সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার তুরস্কের খলিফার কোন ক্ষতি করবে না। কিন্তু যুদ্ধে জার্মানি হেরে গেল তুরস্কের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। যুদ্ধের শেষে জার্মানির পক্ষে যোগদানের জন্য 1১৯২০ সালে সেভার্স চুক্তি অনুযায়ী শাস্তি স্বরূপ তুরস্কের খন্ড-বিখন্ডিত করার পরিকল্পনা করা হয়। এতে ভারতীয় মুসলমানরা মোহিত হয় হয় এবং ভারতীয় মুসলমানরা খলিফার মর্যাদা এবং তুরস্কের অখন্ডতা রক্ষার জন্য তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে, ইতিহাসের খিলাফত আন্দোলন নামে খ্যাত। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন দুই ভাই মাওলানা মোহাম্মদ আলী মাওলানা শওকত আলী এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
অসহযােগ আন্দোলনের প্রকৃতিঃ
অসহযোগ আন্দোলন মহাত্মা গান্ধী ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পরিচালিত ভারতব্যাপী অহিংস গণ-আইন অমান্য আন্দোলনগুলির মধ্যে সর্বপ্রথম। ১৯২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা এই আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে “গান্ধী যুগ”-এর সূত্রপাত ঘটায়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রাওলাট আইন পাস হলে, ভারতের ভাইসরয় ও ইম্পিরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ১৯১৯ সালের ৬ এপ্রিল সেই আইন বলবৎ করে। এই আইনবলে ভারতবাসীর উপর দমনমূলক নানা বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার লঙ্ঘিত হয়, ন্যূনতম প্রমাণ দাখিল ব্যতিরেকেই সেনা ও পুলিশকে সাধারণ ভারতীয়দের গ্রেফতার, কয়েদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।
অধিকন্তু, ভারতীয় জনসাধারণের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের একতরফা ভারতীয় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত অনেক ভারতবাসীকেই ক্ষুব্ধ করেছিল। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অ্যানি বেসান্ত, গোপালকৃষ্ণ গোখলে ও বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো উদার মধ্যপন্থী নেতাদের আহ্বানে হোমরুল আন্দোলন শুধুমাত্র আবেদন-নিবেদন ও রাজনৈতিক সভাসমিতির মাধ্যমে চলছিল; তার এমন কোনও বিধ্বংসী চরিত্র ছিল না যা সরকারি কাজে বিপুল বাধার সৃষ্টি করতে পারে।
খিলাফত আন্দোলন ও অসহযােগ আন্দোলনের প্রকৃতি এবং লাহাের প্রস্তাব
১৯১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং বিহারের চম্পারণ ও গুজরাটের খেদায় মহাত্মা গান্ধী দেখিয়ে দিয়েছিলেন কিভাবে গণ-আইন অমান্য করে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সম্ভ্রম ও দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। ১৯১৮ সালে চম্পারণ ও খেদা সত্যাগ্রহের সময় অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, গার্হস্থ্য হিংসা, কুসংস্কার, নারীনির্যাতন ও অস্পৃশ্যতার অন্ধকারে নিমজ্জিত গরিব কৃষকদের নেতৃত্ব দেন তিনি। এই সব দুর্দশার মধ্যেও তাদের বাধ্য করা হচ্ছিল খাদ্যশস্যের বদলে নীল, তামাক ও তুলা উৎপাদনে। বদলে দেওয়া হচ্ছিল অতি নগণ্য মজুরি। তার উপর, দুর্ভিক্ষ সত্ত্বেও তাদের করদানে বাধ্য করা হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত সরকার এই মর্মে চুক্তিস্বাক্ষরে বাধ্য হন যে, দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলে কর মকুব করা হবে, কৃষকদের নিজ ইচ্ছামতো ফসল চাষ করতে দেওয়া হবে, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে ও সমস্ত জমি ও সম্পত্তি যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তাও ফেরত দেওয়া হবে। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এটিই ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বৃহত্তম বিজয়।
খিলাফত আন্দোলন ও অসহযােগ আন্দোলনের ফলাফল বিশ্লেষণঃ
খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় মুসলমানরা যেমন প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়. তেমনি হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায় প্রথমবারের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামে। কিছুদিনের জন্য হলেও ব্রিটিশ বিভেদ ও শাসননীতি ব্যর্থ হয়। ফলে হিন্দু-মুসলমান ঐক্য ও সম্প্রীতির এক রাজনৈতিক আবহাওয়ার সৃষ্টি করে। অপরদিকে এই ঐক্য ব্রিটিশ সরকারকে শঙ্কিত করে তোলে। এই আন্দোলনগুলো শুধু শিক্ষিত মুসলমান যুবকদের নয়, সারা ভারতের জনগণের মধ্যে এক রাজনৈতিক চেতনা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছিল। তবে এই আন্দোলন এবং হিন্দু-মুসলিম ঐক্য দুই-ই ছিল ক্ষণস্থায়ী। আন্দোলনের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আবার দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে।
লাহাের প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট ও বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যাঃ
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলার কৃতি সন্তান শেরে বাংলা একে ফজলুল হক যে প্রস্তাব পাস করেন সে প্রস্তাব লাহোর প্রস্তাব নামে খ্যাত।লাহোর প্রস্তাবে বলা হয়, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সন্নিহিত স্থানসমূহকে অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজনমতো সীমা পরিবর্তন করে যেসব স্থানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সেসব অঞ্চলসমূহের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।এসব স্বাধীন রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো হবে স্বায়ত্তশাসিত সার্বভৌম। রাহুল প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪আগস্ট ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি রাষ্ট্রের রূপান্তরিত হয়।
লাহাের প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্যঃ
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে All India Muslim League -এর ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণে জন্য যে অধিবেশন আহ্বান করা হয় ঐ অধিবেশনের লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।
নিচে লাহোর প্রস্তাবের মূল বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হলো –
১. ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে এর উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব অঞ্চলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা গুলো নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ গঠন করতে হবে।
২. উল্লিখিত স্বাধীন রাষ্ট্র সমূহের অধীন ইউনিট বা প্রদেশগুলো স্বায়ত্তশাসিত ও সার্বভৌম হবে।
৩. ভারতের অন্যান্য হিন্দু অঞ্চলগুলোর সমন্বয়ে পৃথক হিন্দু রাষ্ট্র গঠিত হবে।
৪. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরপ্রস্তাবের তাৎপর্য সাথে পরামর্শ ভিত্তিতে তাদের স্বার্থ অধিকার ও রক্ষার জন্য সংবিধানের পর্যাপ্ত ক্ষমতা রাখতে হবে।
৫. প্রতিরক্ষা, পরস্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যগুলোর উপর ন্যস্ত থাকবে।
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব অবিভক্ত ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করে। লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হবার পর মুসলিম লীগের রাজনীতিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ উপস্থিত হয়। মুসলমানের মধ্যে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তা বোধ জাগ্রত হয়। অপরদিকে হিন্দুরা লাহোর প্রস্তাবকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি। গান্ধীর মতে, লাহোর প্রস্তাব মেনে নেওয়ার অর্থ ‘ভারতকে ব্যবচ্ছেদ করা ‘এবং তা হবে একটি’ পাপ কাজ’।
জওহরলাল নেহেরু বলেন, লাহোর প্রস্তাব মেনে নিলে ভারত বই পড়বে বলকান রাষ্ট্র গুলোর ছোট ছোট রাষ্ট্রে বিভক্ত কর্তৃত্ববাদী পুলিশী রাষ্ট্র। লাহোর প্রস্তাব কে মুসলিম লীগ বিরোধী পত্রিকাগুলো ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ বলে অভিহিত করে সমালোচনা শুরু করে। তাদের অপবাদই পরে মুসলিম লীগের জন্য সুবাদে পরিণত হয়। লাহোর প্রস্তাব ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ নামে পরিচিতি অর্জন করে। লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়।
এইচ এস সি ইতিহাস ১ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ব্যাচ 2021
প্রিয় এইচএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কোন রকম খরচ ও ঝামেলা ছাড়াই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এইচএসসি প্রথম সপ্তাহের ইতিহাস অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারছেন। আমাদের ওয়েবসাইটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ প্রতিটি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং নির্ভুল উত্তর প্রদান করে থাকেন। ফলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এইচএসসি ইতিহাস প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দাউনলোড করে এসএমএস সম্পন্ন করে আপনি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর এবং A+ পেতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে লিখিত উত্তর ছাড়াও প্রতিটি উত্তরের পিডিএফ এবং জেপিজি ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট pdf
এসএসসি প্রথম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
Finance and Banking 1st Week Assignment Answer
Biology 1st Week Assignment Answer
Business Entrepreneurship 1st Week Assignment Answer
৯ম শ্রেণীর ৯ম সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এস এস সি ( SSC ) দ্বিতীয় সপ্তাহের সকল এসাইনমেন্ট উত্তর
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর
ইংরেজি এসাইনমেন্ট উত্তর
পদার্থ বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
হিসাব বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর
অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর
পৌরনীতি ও সুশাসন এসাইনমেন্ট উত্তর
যুক্তিবিদ্যা এসাইনমেন্ট উত্তর
তাছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে ( Class 6 ) ষষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট , ( Class 7 ) সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ( Class 8 ) অষ্টম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট , (Class 9) নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট, (SSC ) দশম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ( HSC ) একাদশ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর দেওয়া হয়ে থাকে আপনারা চাইলে দেখতে পারেন ।